অক্টোবর ১০, ২০২১
উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলার ঋষিপল্লীতে
শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ: স্বাধীনতার এত বছর পরও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামের ঋষিপল্লীতে। বিভিন্ন সময় ভোটের আশায় জনপ্রতিনিধিরা মিথ্যা স্বপ্ন দেখালেও ভোটের পর আর কেও খোঁজ রাখেনি বলে অভিযোগ তাদের। এমনকি ওই পল্লীর একমাত্র কালীমাতা মন্দির সেটিও দিনে দিনে খালগর্ভে বিলিত হতে চলেছে। এবছরের কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মন্দিরটির সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। অথচ মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করতে পারলে হয়তো ওখানেই হত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান। জানা গেছে কালিগঞ্জের যমুনা নদী থেকে শুরু হয়ে ওয়াপদা অফিসের পাশ নিয়ে উপজেলার নারায়নপুর, ঘোনা, কাজলা, পাইকাড়া ও সাতপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বিলগুল্লি খাল। আর এই খালের তীরবর্তী পশ্চিম নারায়নপুরে গড়ে উঠেছে ঋষিপল্লী। গ্রামটিতে প্রায় অর্ধশত পরিবার বসবাস করে। গ্রামটিতে আজও পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ’র আলো। এ পল্লীর মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও মাটির। একটু বর্ষা হলেই চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। দিন দিন রাস্তাটি ভাঙতে ভাঙতে খাল গর্ভে বিলিন হতে চলেছে। মাটির এ সড়কটির সংস্কার বা উন্নয়নে বছরের পর বছর পল্লীর মানুষ আশারবাণী শুনে আসছেন, তবে বাস্তবায়ন হয়নি কখনও। স্থানীয় শংকর দাস, অজয় দাস, শাওন দাস, সঞ্জয় দাস জানান, মহামারি করোনার কারণে আমাদের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। অনেক কষ্টের মধ্যে বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে বেঁচে আছি। সরকারের এত উন্নয়ন অথচ আমাদের গ্রামটি বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বর্ষার সময় আমাদের চলাচলের একমাত্র মাটির রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ে।
দীর্ঘ দিন ধরে শুনে আসছি, রাস্তাটি সংস্কার হবে, কিন্তু ওই শোনা পর্যন্তই, সংস্কার আর হয় না। ফলে বছরের পর বছর ধরে এই সড়ক পথ ব্যবহার করা ঋষিপল্লীর মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। 8,628,047 total views, 7,597 views today |
|
|
|